Posts

Showing posts from 2020

১০৩ তম জন্মবার্ষিকীতে স্মরণে ইন্দিরা

Image
নেতা, সবাই হতে পারে, নেতৃত্ব দিতে পারে সবাই, কিন্তু কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে চিরকালের মত জায়গা করতে পারে কয়জন! মহান হতে, নজির সৃষ্টি করতে সাহসের প্রয়োজন, উনার সাহসের কোন তোলনা নেই, উনি একটি দেশকে স্বাধীন করিয়ে ছিলেন, কমলা হারিস ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হন। ইন্দিরা জি'র জন্মবার্ষিকীতে আজ আমাদের বুঝতে হবে যে, ভারতের জনগণ আজ থেকে ৫০ বছর আগে একজন মহিলা কে অর্থাৎ শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে তাদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছিলন। ইন্দিরা জি'র সাহস এবং শক্তি সর্বদা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করবে। ভারতের স্রাষ্ট ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী,  অনেক সমস্যা, অনেক বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে দেশের জন্য, দেশের গরিবের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যায় দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যান। উনার নেতৃত্ব দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী ছিল, ওনি "গরীবি হাটাও" এর স্লোগান দিয়েছিলেন, এবং জাতির স্বার্থে কাজ করে গেছেন। উনার জন্ম ১৯ নভেম্বর, ১৯১৭ এলাহাবাদে, সময়টা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের, বাল্যকালে থেকে...

পরিবার না চলমান আন্দোলন (সংগৃহীত)

Image
পরিবার না চলমান আন্দোলন    এক জন কংগ্রেস কর্মী গান্ধী পরিবারের পক্ষে লিখবে, সেটাই তো স্বাভাবিক! তবে তো এ লেখায় নতুন কিছুই থাকবে না। ইতিহাসে তো নতুন কিছু থাকে না, যেটা হয়েছিল সেটাই তো ঐতিহাসিকরা লিখবেন। বহু দিন ধরে শোনা গান্ধী পরিবারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অভিযোগ আবার 'ব্রেকিং নিউজ' হচ্ছে! আমার মতো এক ক্ষুদ্র কংগ্রেস কর্মীর তো কোনও মিডিয়া নেই, তাই এখানেই মনের মধ্যে জমে থাকা কিছু কথা লিখে মনের ভার কমানোর চেষ্টা করছি। যদি লেখায় কোনও ভুল থাকে, কোনও মিথ্যের আশ্রয় থাকে, জানাবেন। ভুল স্বীকার করে নেব।    কিছু প্রচলিত কথা আছে, যেমন এই গান্ধীরা কি সেই গান্ধী! রক্তের সম্পর্ক ধরলে তো একদমই না। গান্ধী পদবি থাকলেই যে কেউ মহাত্মা গান্ধী হয়ে যাবে, সেটা আবার হয় নাকি!তবে তো মহাত্মার রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলো সবাই মহাত্মা গান্ধী হয়ে যেতেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জিন বাহিত হয়, কিন্তু জীববিদ্যা অনুসারে উপযুক্ত পরিবেশ ছাড়া জিনের বিকাশ হয় না। তাই মহাত্মা গান্ধীর জিন না পেলেও ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারটা সেই পরিবেশ পেয়েছিলেন। মানুন, নাই মানুন, ভাল বলুন বা খারাপ,  দেশে...

ত্রিপুরার আদিবাসী অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ

Image
ত্রিপুরা উপজাতি যুব সমিতির নেতৃত্বে দীর্ঘকালীন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলপ্রসু হল আজকের ত্রিপুরার আদিবাসী অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ (এডিসি)। স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ স্থাপনের মূল লক্ষ্য হল জনজাতিদের তাদের শাসন পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া এবং পিছিয়েপড়া লোকদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সামাজিক, রাজনৈতিক সর্বোপরী অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থ ও রক্ষা কবচের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী জী ১৯৮৪ সালের ৪৯ তম সংবিধান সংশোধন আইন দ্বারা ভারতীয় সংবিধানের 6ষ্ঠ তফসিলে ত্রিপুরাকে সংযুক্ত করা হয়, এবং পরবর্তী সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়।

Tripura Pradesh Mahila Congress distributed National flag & mask

Image
On the occasion of 74th Independence Day We distributed National flag & mask among Common People at Battala bazar, today   Under the leadership of Tripura Pradesh Mahila Congress west LS incharge Smt DebjanibLaskar ji in Presence of Tripura Pradesh Congress Committee Block President Tapan Singha, Yoth Leader Rakhu Das, Youth Congress State Secretary Arnika Saha & Tanmoy Dhar, Tripura Pradesh Sadar District Mahila Congress Secretary Rekha Chakraborty & Mahila Congress Member Bina Ghosh.

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (Day ১৪)

Image
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (Day ১৪) মহাত্মা গান্ধী জন্ম ২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ মৃত্যু ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮ অন্যতম প্রধান ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা। একজন শিক্ষিত ব্রিটিশ আইনজীবী হিসেবে, গান্ধীজি প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ভারতে ফিরে আসার পরে কয়েকজন দুঃস্থ কৃষক এবং দিনমজুরকে সাথে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং বহু বিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরনেতৃত্বে আসার পর গান্ধীজি সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাত...

সরদার বল্লভভাই পটেল (Day ১৩)

Image
সরদার বল্লভভাই পটেল (Day ১৩) জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৮৭৫ মৃত্যু ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫০ একজন ভারতীয় পণ্ডিত ও জাতীয়তাবাদী নেতা। যিনি সরদার প্যাটেল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তাকে ভারতের লৌহমানব বলা হয়। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী। ১৯১৭ সালে সর্দা‌র বল্লভভাই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের গুজরাট শাখার সেক্রেটারি হিসাবে নির্বাচিত হন । ১৯১৮ সালে কায়রায় বন্যার পরে ব্রিটিশরা জোর করে কর চাপিয়ে দিলে তিনি কৃষকদের কর প্রদান না করার জন্য একটি বিশাল "কর শুল্ক অভিযান" পরিচালনা করেছিলেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া জমি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। তাঁর এলাকার কৃষকদের একত্রিত করার প্রচেষ্টা তাঁকে 'সর্দার' উপাধি দিয়েছিল। তিনি গান্ধী দ্বারা চালিত অসহযোগ আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলেন। তিনি তার সাথে জাতি সফর করেছিলেন। এতে তিনি ৩০০,০০০ সদস্য নিয়োগ করেছিলেন এবং ১.৫ মিলিয়নের ও বেশি সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯২৮ সালে বারদোলির কৃষকরা আবার "ট্যাক্স-বৃদ্ধির" সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। দীর্ঘ সময় তলব করার পরে কৃষক...

মাস্টারদা সূর্য সেন (Day ১২)

Image
সূর্য সেন (Day ১২) জন্ম- ২২ মার্চ, ১৮৯৪ - মৃত্যু: ১২ জানুয়ারি, ১৯৩৪ বা সূর্যকুমার সেন যিনি মাস্টারদা নামে সমধিক পরিচিত। তার ডাকনাম ছিল কালু।  ভারতবর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। পূর্ববঙ্গে জন্ম নেওয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং নিজ জীবন বলিদান করেন।  সূর্যসেনের বাহিনী কয়েকদিনের জন্যে ব্রিটিশ শাসনকে চট্টগ্রাম এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল।  সূর্য সেনের অন্যতম সাথী বিপ্লবী অনন্ত সিংহের ভাষায় "কে জানতো যে আত্মজিজ্ঞাসায় মগ্ন সেই নিরীহ শিক্ষকের স্থির প্রশান্ত চোখ দুটি একদিন জ্বলে উঠে মাতৃভূমির দ্বিশতাব্দীব্যাপি অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হবে? ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ দমনের জন্য বর্বর অমানুষিক অত্যাচারের প্রতিশোধ, জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ! কে জানতো সেই শীর্ন বাহু ও ততোধিক শীর্ন পদযুগলের অধিকারী একদিন সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ রাজশক্তির বৃহত্তম আয়োজনকে ব্যর্থ করে - তার সমস্ত ক্ষমতাকে উপহাস করে বৎসরের পর বৎসর চট্টগ্রামের গ্রামে গ্রামে বি...

সুভাষচন্দ্র বসু (Day ১১)

Image
সুভাষচন্দ্র বসু  জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত উক্তি "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।"  ১৯২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে চিঠি লিখে জানান যে, তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছেন। তবে তিনি ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মী হতে চান না। অর্থাৎ, সরকারি চাকরিতে তিনি যোগ দিচ্ছেন না। দেশে ফিরে তিনি ভারতের সাধারণ মানুষের জন্যই কাজ করতে চান। চিত্তরঞ্জন দাশকে লেখা ওই চিঠিতেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তরুণ সুভাষ। ১৯২১ সালে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে সুভাষচন্দ্রর প্রথম উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী ছিল ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’-এর ভারত সফর বয়কট করার আন্দোলন গড়ে তোলা। ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’-এর অভ্যর্থনার আসরেই খাদির বস্ত্র বিলি ও বিক্রি করার চেষ্টা করেন সুভাষচন্দ্র ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী। আন্দোলন ঠেকাতে তখন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়। গ্রফতার হন চিত্তরঞ্জন দাশ আর সুভাষচন্দ্রও। এর প...

অরুণা আসফ আলী (Day -১০)

Image
অরুণা আসফ আলী (Day -১০) জন্ম ১৬ জুলাই ১৯০৯ ২৯ জুলাই ১৯৯৬ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও একজন সমাজকর্মী ছিলেন। অরুণা আসফ আলীকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালে জওহরলাল নেহরু পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্ব্বোচ্চ সম্মান ভারত-রত্ন উপাধিতে সম্মানিত করে আর ১৯৬৪ সালে তাকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় লেলিন শান্তি পুরস্কারে বিভূষিত করা হয়। সমাজে প্রগতি আর শান্তির চেষ্টার কারণে ১৯৫৫ সালে তাকে সোভিয়েট দেশে নেহরু পুরস্কারে সম্মানিত করে। তিনি দিল্লী মহানগরের প্রথম মহিলা মেয়র ছিলেন। তিনি জাতীয় মহিলা ফেডারেশনের সভানেত্রীও ছিলেন। তিনি জাতীয় মহিলা কনফারেন্সের সাথে জড়িত থাকার কারণে দিল্লী কংগ্রেস কমিটীর সভানেত্রী হন। ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি ভারত ছাড়ো প্রস্তাব গ্রহণ করলে অরুণা আসফ আলী দেশবাসীকে এই শেষ সংগ্রামটিতে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই খবর পাওয়ার সাথে সাথে ব্রিটিশ সরকার মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু প্রমুখ দেশনেতাদের গ্রেপ্তার করার সাথে সা...

চন্দ্রশেখর আজাদ (Day-৯)

Image
চন্দ্রশেখর আজাদ (Day-৯) জন্ম: ২৩শে জুলাই, ১৯০৬, মৃত্যু:২৭শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩১ আজাদ নামেই তিনি পরিচিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী ছিলেন। আরেক বিপ্লবী ভগৎ সিংয়ের আদর্শিক গুরু হিসেবে চন্দ্রশেখর আজাদের পরিচয় আছে। গান্ধীর দ্বারা পরিচালিত ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত হওয়ার পর, আজাদ বিপ্লবী হয়ে ওঠেন। তিনি তরুণ বিপ্লবী মনমোহননাথ গুপ্তের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যিনি তাকে রাম প্রসাদ বিসমিলের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন, যিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এ্যসোসিয়েশনের (এইচআরএ) বিপ্লবী সংগঠন গঠন করেছিলেন। এরপর তিনি এইচআরএর সক্রিয় সদস্য হন এবং এইচআরএর জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে শুরু করেন। বেশিরভাগ তহবিল সংগ্রহ করা হতো সরকারি সম্পত্তি ডাকাতি মাধ্যমে। কংগ্রেসের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, মতিলাল নেহরু নিয়মিত আজাদকে সমর্থন করতেন ও অর্থ প্রদান করতেন। চন্দ্রশেখর আজাদ ১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদে আলফ্রেড পার্কে মারা যান। একটি অজ্ঞাত পরিদর্শক তাকে বলেছিল, পুলিশ তাকে পার্কে ঘিরে রেখেছিল। তিনি নিজেকে এবং সুখদেব রাজকে রক্ষা করার জন্য আহত হন এবং তিন প...

রানী লক্ষ্মী বাঈ (Day-৮)

Image
রানী লক্ষ্মী বাঈ (Day-৮) জন্ম: ১৯ নভেম্বর, ১৮২৮ - মৃত্যু: ১৭ জুন ১৮৫৮ ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিপ্লবী নেতা হিসেবে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ঝাঁসীর রাণী বা ঝাঁসী কি রাণী হিসেবেও সর্বসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের অন্যতম প্রতিমূর্তি ও পথিকৃৎ হয়ে রয়েছেন তিনি। ছোটবেলায় তাঁর প্রকৃত নাম ছিল মণিকর্ণিকা তাম্বে। কিন্তু, তাঁকে সবাই ভালবেসে ডাকত 'মনু' বলে। ১৮৪২ সালে তিনি ঝাঁসীর মহারাজা গঙ্গাধর রাও নিওয়াকরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পরই তার নতুন নামকরণ হয় 'রানী লক্ষ্মী বাঈ', যা 'ঝাঁসীর রানী' হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৮৫১ সালে তাঁদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় দামোদর রাও। চার মাস পর সন্তানটি মারা যায়। পুত্র শোক ভুলতে রাজা এবং রাণী উভয়েই আনন্দ রাওকে দত্তক নেন। আনন্দ রাও ছিলেন গঙ্গাধর রাওয়ের জেঠতুতো ভাইয়ের ছেলে। তাঁর নাম রাখেন দামোদর রাও। ঝাঁসীর মহারাজা গঙ্গাধর রাও ২১ নভেম্বর, ১৮৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর তাঁর দত্তক পুত্রকে তাঁর উত...

ভগৎ সিংহ (Day-৭)

Image
ভগৎ সিংহ জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯০৭ মৃত্যু ২৩ মার্চ ১৯৩১ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রভাবশালী বিপ্লবী। তিনি ছিলেন এক জাতীয়তাবাদি। ভারতের জাতীয়তাবাদিরা ওনাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা করে। মাত্র ২৩ বছর বয়সে দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি গলায় তুলে নেন এই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। অল্প সময়েই দেশবাসীর কাছে এক আদর্শময় ব্য়ক্তিত্বের ছাপ ছেড়ে যান তিনি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অমর কীর্তির জন্য সবাই তাঁকে শহিদ ভগৎ সিং বলেই চেনে।  দেশ ব্রিটিশদের অধীনে থাকাকালীন পাঞ্জাব জন্ম নিয়েছিলেন এই বিপ্লবী। দেশ ভাগের পর বর্তমানে ভগৎ সিংয়ের জন্মভিটে পাকিস্তানে চলে গিয়েছে।   ব্রিটিশদের দেশ থেকে হটাতে বিপ্লবের পথে হেঁটেছিলেন লালা লাজপত রাই। তাঁকে দমন করতে আক্রমণের পথে হাঁটে ব্রিটিশ সরকার। সেই সময় লাজপত রায়ের আন্দোলনকে গুড়িয়ে দিতে নৃশংস হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন পি সনডারস।  যার পাল্টা প্রতিশোধের পথে হাঁটেন ভগৎ সিংয়ের মতো বিপ্লবীরা। প...

Stop Rape, Save Girls

Image
Crime against Women are raising in Tripura,  One after another incidents of rape of minors have been happening, people have turned into animals, today again the incident of rape of 12-year-old minor have Come to the fore.  Has this government failed to protect women? Is this the truth of Beti Bachao, Beti Padhao!  We demand severe punishment for the rapists and I demand strict action to stop the worst incidents like rape.  बेटी को सदन में लाओ। बेटे को इंसान बनाओ। 🙏

রামপ্রসাদ বিসমিল (Day-৬)

Image
রামপ্রসাদ বিসমিল জন্ম:- ১১ জুন ১৮৯৭ মৃত্যু:- ১৯ ডিসেম্বর ১৯২৭ রামপ্রসাদ-এর জন্মস্থান উত্তরপ্রেশের শাহজানপুর জেলা। তার পিতার নাম ছিল মুরলিধর ও মাতার নাম মুলমতি দেবী। মুরলিধর বাড়িতে বসেই রাম প্রসাদ কে হিন্দি অক্ষর শেখাতেন, সে সময় উর্দু ভাষাও খুব প্রচলিত ছিল যার কারনে রামপ্রসাদ কে এক মৌলবী সাহেবের কাছে পাঠানো হত। পন্ডিত মুরলিধর রামপ্রসাদের পড়াশোনায় বিশেষ লক্ষ্য দিতেন। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত রামপ্রসাদ সবসময় ফাস্ট হয়েছিল। বাল্যকালে থেকেই আর্যসমাজ এর সম্পর্কে যোগ দেন। শাহজানপুরে আর্যকুমার সভা স্থাপিত করেন। শাহজানপুরে আর্যসমাজ মন্দিরে স্বামী সোমদেবের সংস্পর্শে আসেন এবং তার জীবনে পরিবর্তন আসে। রামপ্রসাদ বিপ্লবী দলে যোগ দিলেন। হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের সদস্য হন। তাদের এই বিপ্লবের কাজে অর্থ সংগ্রহ করার দরকার অস্ত্রসস্ত্র আনার জন্য। রামপ্রসাদ বিসমিল একদিন শাহজাহানপুর থেকে লখনৌতে ট্রেন ভ্রমণের সময় খেয়াল করলেন যে প্রত্যেক স্টেশন মাস্টার তার কেবিনে গার্ডের মাধ্যমে টাকার ব্যাগ আনছেন। সেই টাকার ব্যাগটি লখনৌ জংশনের সুপারেন্টেন্ডেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিস...

লালা লাজপত রায় (Day-5)

Image
লালা লাজপত রায় জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৮৬৫, মৃত্যু ১৭ নভেম্বর ১৯২৮ সন (বয়স ৬৩) লালা লাজপত রায় একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাকে পাঞ্জাব কেশরি নামেও জানা যায়। তিনি পাঞ্জান ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও লক্ষী বিমা কম্পানী স্থাপন করেছিলেন। তিনি কিছু সময় হরিয়াণার রোহতক এবং হিসার শহরে উকালতি করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের অন্যতম নেতা ছিলেন।  বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিন চন্দ্র পালের সহিত তিনি লাল-বাল-পাল নামেই বিখ্যাত ছিলেন। এই তিন নেতারাই ভারতে সর্বপ্রথম ব্রিটিশ থেকে ভারতের স্বাধীনতার দাবী করেন পরবর্তি সময়ে সমগ্র ভারতবাসী এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। তিনি স্বামী দয়ানন্দ সরসত্বীর সহিত আর্য সমাজকে পাঞ্জাবে জনপ্রিয় করে তোলেন। তিনি অনেক স্থানে দুর্ভিক্ষের সময় শিবির স্থাপন করে লোকের সেবা করেছেন। ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর তারিখে তিনি সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনিতে অংশগ্রহণ করেন । সেখানে তিনি পুলিশের লাঠি চার্চে গভীর ভাবে আহত হন। গুরুতরভাবে আহত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘’আমার শরীরে কর...

বাঘা যতীন (Day-4)

Image
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়  জন্ম ৭ ডিসেম্বর ১৮৭৯ মৃত্যু ১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৫  যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বাঙালি ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবী নেতা। তিনি বাঘা যতীন নামেই সকলের কাছে সমধিক পরিচিত। ভারতে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। বাঘা যতীন ছিলেন বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন যুগান্তর দলের প্রধান নেতা।  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে কলকাতায় জার্মান যুবরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে তিনি জার্মানি থেকে অস্ত্র ও রসদের প্রতিশ্রুতি অর্জন করেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জার্মান প্লট তারই মস্তিস্কপ্রসূত। কলকাতা থেকে খবর এল, একের পর এক বিপ্লবীদের কেন্দ্রগুলিতে তল্লাস চালাচ্ছে পুলিশ। বালেশ্বরের সন্ধান পেতে দেরী নেই। দুর্গম ডুভিগর পর্বতশ্রেণী দিয়ে গা ঢাকা দেবার উপযোগিতা নিয়ে কেউ কেউ যখন জল্পনা-কল্পনা করছেন, যতীন দৃঢ়স্বরে জানালেন, "আর পালানো নয়। যুদ্ধ করে আমরা মরব। তাতেই দেশ জাগবে। ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাত্রে যতীন নিজের সাময়িক আস্তানা মহলডিহাতে ফিরে এলেন। সঙ্গে চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, জ্যোতিষচন্দ্র পা...

মাতঙ্গিনী হাজরা (Day-3)

Image
মাতঙ্গিনী হাজরা জন্ম ১৭ নভেম্বর ১৮৭০ মৃত্যু২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক মহান বিপ্লবী নেত্রী। তিনি 'গান্ধীবুড়ি' নামে পরিচিত ছিলেন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস সদস্যেরা মেদিনীপুর জেলার সকল থানা ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল জেলা থেকে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করে এখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। প্রধানত মহিলা স্বেচ্ছাসেবকসহ ছয় হাজার সমর্থক তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। শহরের উপকণ্ঠে মিছিল পৌঁছালে ব্রিটিশ রাজপুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই আদেশ অমান্য করে মাতঙ্গিনী অগ্রসর হলে তাঁকে গুলি করা হয়।  কিন্তু তা সত্ত্বেও মাতঙ্গিনী এগিয়ে চলেন এবং পুলিশের কাছে আবেদন করেন জনতার ওপর গুলি না-চালাতে। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের মুখপত্র বিপ্লবী পত্রিকার বর্ণনা অনুযায়ী, ফৌজদারি আদালত ভবনের উত্তর দি...

বিনয়-বাদল-দীনেশ (Day-2)

Image
ভারতের ইতিহাসে বিনয়-বাদল-দীনেশ এই ত্রয়ীর নাম সবসময়েই স্বর্ণাক্ষরে লেখা। দেশের প্রতি তাঁদের আত্মত্যাগ ভারতবাসীর মনে তাঁদের চিরস্মরণীয় আসন দিয়েছে। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন যারা তাঁদের মধ্যে এই তিনটি নাম থাকে একদম প্রথমের দিকেই। এনএস সিম্পসন ছিলেন অত্যন্ত অত্যাচারী এক মানুষ। তিনি কুখ্যাত ছিলেন জেলে বন্দীদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের জন্য। এই ত্রয়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁকে হত্যা করার। শুধু সিম্পসনকে হত্যাই নয় তাঁদের লক্ষ্য ছিল কলকাতার ডালহৌসি স্কোয়ারে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসকদের সচিবালয় রাইটার্স ভবনে আক্রমণ করে ব্রিটিশ অফিস পাড়ায় ত্রাস সৃষ্টি করার। ইংরেজদের বুঝিয়ে দেওয়ার এবার সময় বদলাচ্ছে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই দীনেশ তাঁর দুই সঙ্গী বিনয় এবং বাদল ইউরোপীয় পোশাকে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করেন এবং সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। ব্রিটিশ পুলিশ গুলি শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে এই তিন তরুণ বিপ্লবীর সাথে পুলিশের একটি সংক্ষিপ্ত বন্দুকযুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধই ‘অলিন্দ যুদ্ধ নামে খ্যাত৷ পুলিশ দ্রুতই তাঁদেরকে পরাভূত করে ফেলে। নির্ভীক এই বিপ্লবীরা সহজেই হার স্বীকার করে নিতে চাননি তা...

ক্ষুদিরাম বসু (Day -1)

Image
ক্ষুদিরাম বসু জন্ম :- ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ মৃত্যু :- ১১ আগস্ট ১৯০৮  ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি বিপ্লবী যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকি কে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড এর গুপ্ত হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন,   ব্রিটিশ বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড গাড়িতে আছে ভেবে তাকে গুপ্তহত্যা করার জন্যে বোমা ছুঁড়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, যে ঘটনার ফলে দুজন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়, যারা ছিলেন মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা।  প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন। দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়। ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস ১১ দিন, যেটা তাকে ভারতের কনিষ্ঠতম ভারতের বিপ্লবী অভিধায় অভিষিক্ত করেছিল।

ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী

Image
এক নজরে বিশ্ব নেতৃ ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তির প্রতীক ইন্দিরা গান্ধী । সমস্যার সামনে হার না মানার ইন্দিরা গান্ধী । রাজনৈতিক জীবনে “Iron lady” ইন্দিরা গান্ধী । বাচ্চাদের মাঝে ছোট্ট বেলায় ফিরে যাওয়ার ইন্দিরা গান্ধী । আমেরিকাকে দিনের বেলায় তারা দেখিয়ে দেওয়ার ইন্দিরা গান্ধী । এক নতুন ভারতের ভাগ্য লেখার ইন্দিরা গান্ধী । দেশের জন্য নিজের রক্ত বইয়ে দেওয়ার ইন্দিরা গান্ধী । পিতা জওহরলাল নেহরু। মাতা কমলা নেহরুর একমাত্র কন্যা ভারতমাতা প্রিয়দর্শিনী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। জওহরলাল নেহরুর পিতা মতিলাল নেহরু তখন এলাহাবাদের নামজাদা উকিল ও জননেতা ছিলেন। এলাহাবাদের আনন্দ ভবনে প্রিয়দর্শিনী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম হয় ১৯/১১/১৯১৭ সালে। এক মহান পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও জীবনে খুব লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়েছিল শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে। ছোটবেলা থেকেই প্রায় নিঃসঙ্গতায় ভুগতে হয়েছিল শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে। মা কমলা নেহরু সারা বছরই প্রায় অসুস্থতায় ভুগতেন। পিতা জওহরলাল নেহরু বেশির ভাগ সময়ই স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকতেন নতুবা ব্রিটিশ শাসনের দ্বারা জেল বন্ধী থাক...