যুক্তিতে ভক্তি
প্রতিদিনর মত সেদিন সন্ধ্যায় ও কৃষ্ণনগর স্কুল মাঠে খেলতে যান বাচ্চারা। ধিরে
ধিরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, বেটবল খালাতে তখন বেটিং করছিলেন গ্রামের সচিন ( সচিনের
ভালো নাম আবীর ক্রিকেট খুব ভাল খেলত বলে গ্রামের সবাই তাকে সচিন বলে ডাকে ) সচিনের বেটিং প্রথম বলে চার, দ্বিতীয় বলে ছয়, তৃতীয় বলে আবার ছয়। তৃতীয় বলে ছয়
মাড়লে বলটি গিয়ে পরে মাঠের পাসের এক জঙ্গলে, বাচ্চারা জঙ্গলে বলটি খুজতে গেলে হঠাৎ
তাদের চোখে পরে একটি অপরিচিত বেক্তির মৃতদেহ। মৃতদেহটি দেখে বাচ্চারা চিৎকার
চেঁচামেচি করলে সেখানে গ্রামের লোকজন ছুটে যায়। মৃতদেহটি দেখে সেখানকার লোকজন
পুলিশ কে খবর করেন, পুলিশ সেখানে এসে দেহটিকে নিয়ে যান এবং এর পরিবারের খুজ খবর
বার করতে শুরু করেন, তিনদিন পর সংবাদ পত্রে খবর দেখে এক মহিলা সেই দেহটিকে নিজের
স্বামী বলে পরিচয় দেন, সেই দেহটি ছিল বিধান চন্দ্র রায় নামক এক অধ্যাপকের।
পশ্চিম বাংলার কৃষ্ণনগার গ্রামের কৃষ্ণানগর
বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিধান চন্দ্র রায় এর। বিধান বাবু ছিলেন কৃষ্ণনগর বিশ্ব
বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ওনার জনপ্রিয়তা ছিল
অধিক, বিধান বাবুর বন্ধু ছিলেন পরিমল চ্যাটার্জি, সবাই তাকে পরিমল দা কিংবা পরিমল
বাবু বলে ডাকতেন, পরিমল বাবু ও কৃষ্ণনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
ছিলেন। বিধান বাবু সবসময় যুক্তিতে বিশ্বাস করতেন কিন্তু পরিমল বাবু ছিলেন তার ঠিক
উল্টো, সব বিষয়েই পরিমল বাবুর ভাবনা ছিল খুবই সাধারণ, তিনি সবকিছু খুব অল্পেই বিশ্বাস
করেনিতেন। পরিমল বাবুর এই সভাব বিধান বাবুর খুব অপছন্দের ছিল, বিধান বাবু সর্বক্ষণ
এই নিয়ে তাকে বুঝাত। আরো একটা বিষয়ে সর্বক্ষণ পরিমল বাবু ও বিধান বাবুর মধ্যে মত
বিরুধ হয়ে থাকে সেটি হল ধর্ম ও আস্থার বিষয়ে। বিধান বাবু সর্বক্ষণ যুক্তি দিয়ে কথা
বলতেন ও পরিমল বাবু ভক্তি দিয়ে, দিনে এক বার হলেও যুক্তি ও ভক্তি নিয়ে ওনাদের
মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়েই থাকত।
বিধান বাবু ও পরিমল বাবু প্রতিদিন সন্ধ্যায় গলির
মুরে অমলের দোকানে চা খেতে যেতেন সেখানেই বসত ওনাদের চায়ের আড্ডা। বিধান বাবু,
পরিমল বাবু ছাড়াও পাড়ার বেশ কয়েকজন আসতেন সেখানে, প্রতিদিনই খুব জমজমাট আড্ডা বসতো
সেখানে, সঙ্গে ছিল পরিমল বাবু ও বিধান বাবুর তর্ক বিতর্ক, সন্ধ্যা ৬:০০ টা থেকে
৮:০০ টা পর্যন্ত চলত এনাদের আড্ডা, প্রতিদিনের মত সেদিন সন্ধ্যায় ও বিধান বাবু ঠিক সময়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরেন গলির মুরে চায়ের
দোকানের উদ্দেশ্যে।
রাত্রী ৮:৩০ শে বিধান বাবু বারি না ফিরলে,
বিধান বাবুর স্ত্রী বিধান বাবু কে ফোন করলে ফোন অফ বলে, বিধান বাবুর ফোন কখনো অফ
থাকেন না, এ নিয়ে বিধান বাবুর স্ত্রী চিন্তিত হয়ে পরেন, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রাত
৯:০০ টাই বিধান বাবুর স্ত্রী পরিমল বাবু কে ফোন করেন, পরিমল বাবু কে ফোন করলে
পরিমল বাবু বিধান বাবুর স্ত্রী কে জানান, বিধান বাবু অনাক আগেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রউনা
হয়ে যান, তখন বিধান বাবুর স্ত্রী পরিমল বাবু কে জানান বিধান বাবু তখনো বাড়ি
ফিরেননি, এই কথা শুনে পরিমল বাবু বিধান বাবুর স্ত্রী কে স্তির থেকে বিধান বাবুর
খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করতে বলেন, বিধান বাবুর স্ত্রী রাত্রিতে সব আত্মীয়দের বাড়ি ফোন
করে বিধান বাবুর খোঁজ নেওয়ের চেষ্টা করে, কিছু খবর না পেয়ে ভোর হলেই বিধান বাবুর
স্ত্রী ছোটে যান পরিমল বাবুর বারি। পরিমল বাবুকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে একটি
মিসিং ডায়েরি করান, অবশেষে নিখুজ হওয়ার চারদিন পর সংবাদ পত্রের মাধ্যমে বিধান
বাবুর স্ত্রী বিধান বাবুর মৃত্যুর সংবাদ পায়, পরিমল বাবু ও বিধান বাবুর মৃত্যুর
খবরে খুব ভেঙ্গে পরেন।
বিধান বাবুর স্ত্রী দেহটি দেখে এর পরিচয়
জানালে, পুলিশ বিধান বাবুর স্ত্রী কে জানান এই মৃত্যুটি কোন সাধারণ মৃত্যু না
ওনাকে হত্যা করা হয়েছে, একথা শুনে বিধান বাবুর স্ত্রী এই ঘটনার তদন্ত ও দোষীর শাস্তির
দাবী জানান।
দাহকার্য সমাপ্ত হওয়ার পর
পুলিশ এর তদন্ত শুরু করেন, দীর্ঘদিন ছানবিন করার পর পুলিশ খুনি কে খুঁজে বারকরেন,
বিধান বাবু কে খুন করেছিলেন ওনার বন্ধু পরিমল চ্যাটার্জি। এই সত্য জানতে পেরে বিধান বাবুর স্ত্রী মানুষিক ভাবে
সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পরেন।
পুলিশ পরিমল বাবু কে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন এই হত্যার আসল কারন।
হত্যের কারন সম্পর্কে পরিমল চ্যাটার্জির বয়ানঃ-
অনন্যা দিনের মতন হত্যার দিন
সন্ধ্যায় ও বিধান বাবু, পরিমল বাবু সকলেই এসেছিলেম গলির মুরের চায়ের দোকানের
আড্ডায়। প্রতিদিনের মতন সেইদিন ও হাসি ঠাট্টায় জমে উঠেছিল আড্ডা, হাসি ঠাট্টার
মাঝে হঠাৎ সেখানের এক বেক্তি সপন ঈশ্বর ও ধর্ম সম্পর্কে কথা বল্লে আবার বিধান বাবু
ও পরিমল বাবুর মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয় ধর্ম নিয়ে।
সপন বাবুঃ- কাল শিব চতুর্দশী মনে আছে তো সকলের! কে কে কাল বাবার জন্য শিব
চতুর্দশীর উপবাশ করবেন।
পরিমল বাবুঃ- হে, ভাই সব মনে আছে, আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনই কাল শিব চতুর্দশীর উপবাশ করবো।
বিধান বাবুঃ- কেন, শিব চতুর্দশীতে উপবাশ করার কী আছে?
পরিমল বাবুঃ- সে তোই বুঝবি না। শিব চতুর্দশীর দিন উপবাশ রেখে, কাঁধে জল নিয়ে গিয়ে বাবার মাথায় জল ঢাল্লে বাবা তুষ্ট হন।
বিধান বাবুঃ- শিব বাবা, যদি বাবাই হয়ে থাকেন তবে কেন উপবাশ থেকে আরাধনা
করলেই উনি তুষ্ট হবেন? আমার দেহের বাবাত শুধু আমার সামান্য ভাল কাজেই খুশি হয়ে
যান। শিব বাবা ওনাকেতো জগতের পিতা বলা হয় তবে ওনি কেন ওনার সন্তানদের এত কষ্ট দিয়ে
তুষ্ট হবেন?
বিধান বাবুঃ- তুমি যদি ভরা পেটে, ময়লা কাপরে ও ভক্তি ভরে মনথেকে ঈশ্বরকে ডাকো তাতেও ঈশ্বর শ্বারা দেন।
পরিমল বাবুঃ- তোই নাস্তিক মানুষ তোই কী বুঝবি এর মর্ম।
বিধান বাবুঃ- ঠিকাছে আমি বুঝি না, তোই আমায় বুঝিয়ে বল। শিব বাবা কেন তার সন্তানদের এত কষ্ট দিয়ে তুষ্ট হবেন?
পরিমল বাবুঃ- বাবা আমাদের কষ্ট দেন না, আমরা বাবাকে তুষ্ট করতে এই সব করি।
বিধান বাবুঃ- এই দেখ তোই যে কাল সারাদিন না খেয়ে বাবার আরাধনা করবি এতে তোর দেহ কষ্ট পাবে, তোই একবার ভেবে দেখ তোর দেহের কষ্ঠে কী কোনদিন তর বাবা সহ্য করতে পারবে সে তোই তর বাবা কে যতই তুষ্ট করনা কেন, তাহলে শিব বাবা কী ভাবে খুশী হবেন? পিতা মাতাকী কখনো সন্তানের কষ্টে শুখি হতে পারেন?
পরিমল বাবুঃ- দেখ এ নিয়ে আমি তোর সঙ্গে কোন প্রকার তর্ক করতে চাইনা, ভক্তিতে কখনো প্রশ্ন করতে নাই।
বিধান বাবুঃ- তোই একজন বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়ে মূর্খের মতন কথা বলছিস। তোর এত ডিগ্রি এত শিক্ষার কী দাম রইল। তোই শিক্ষিত বেক্তি হয়ে যদি বলিশ ভক্তিতে প্রশ্ন করতে নাই তোর ছাত্র ছাত্রিরা তোর থেকে কী শিখবে! আর তোই কী তর্ক করবি তোর কাছে জবাব থাকলে তবেনা তোই কিছু বলবি।
পরিমল বাবুঃ- ডিগ্রি কোনদিন ধর্মজ্ঞান শেখায় না, ধর্মজ্ঞান আমাদের জন্ম থেকে প্রাপ্তি।
বিধান বাবুঃ- তোর জন্মের পর যদি তোর মা বাবা তোকে রাস্তায় ফেলে দিত তোই জান্তে পারতি কী তোর ধর্ম কী তোর জাত?
পরিমল বাবুঃ- আজকাল তোর সঙ্গে কথা না বলাই উচিৎ।
বিধান বাবুঃ- যখন বলারমতন কোন জবাব থাকেনা তখন সবাই একথাই বলে। আর শুন যে
ভক্তিতে যুক্তি থাকেনা সেই ভক্তি বেশিদিন টিকেনা।
পরিমল বাবুঃ- আজকাল নাস্কিত থেকে আমাকে ভক্তি শিখতে হবে নাকি?
বিধান বাবুঃ- না আমরা কাওকে ভক্তি শিক্ষাই না। আমরা শুধু মানুষকে এটা বোঝায় কখনো অন্ধবিশ্বাস করতে নাই, আগে নিজের বুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে বিচার করো পরে বিশ্বাস কর।
সপন বাবুঃ- আচ্ছা আচ্ছা এখন আপনারা থামুন।
পরিমল বাবুঃ- না সপন বাবু, বিধান তর মত নাস্তিকেরাত ধর্মগ্রন্থ রামায়ান মহাভারাত কেও মিথ্যে বলে, তাই বলেকী এও আমাদের মেনে নিতে হবে।
বিধান বাবুঃ- রামায়াম, মহাভারাত ধর্মগ্রন্থ হতে পারে তবে একে লেখার উদ্দেশ্য একে
সামনে রেখে পুজা করা নয়, এতে দেখানো পথে চলা এই গ্রন্থ লেখার মূল উদ্দেশ্য, কিন্তু তদের মতন কিছু শিক্ষিত মূর্খরা এর দেখানো পথে না চলে একে দিন রাত্র পূজা করে ঘরে রেখেদেয়।
পরিমল বাবুঃ- তুই কি নিজেকে খুব পণ্ডিত ভাবিস?
বিধান বাবুঃ- না, আমি নেজেকে মানুষ ভাবি।
রাজেশ্বর চক্রবর্তীঃ- আপনি কিন্তু আমাদের ধর্মের অপমান করছেন।
বিধান বাবুঃ- আমি অপমান করছি না আমি যুক্তি দিয়ে ভক্ত করছি।
রাজেশ্বর চক্রবর্তীঃ- ধর্মে যুক্তি ও জ্ঞানের না ভক্তির প্রয়োজন হয়।
পরিমল বাবুঃ- ভক্তিতে কখনো প্রশ্ন করতে নাই। তোই জানিশ গীতাতে ভগবান বলেছেন, যেই পরমেশ্বর ভগবান থেকে সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে এবং অনাদিকাল
থেকে তারই অনুসরণ করছে, সেই পরম পুরুষের শ্বরনাগত হও।
বিধান বাবুঃ- ভগবান আরো বলেছেন আত্মতত্ত্ব জ্ঞানহীন অবিবেকগণ যত্ন করেও এই তত্ত্ব অবগত হন না।
বিধান বাবুঃ- ভগবান তোর দেহে একটা ব্রেইন দিয়েছে, যুক্তি ও প্রশ্ন না করলে সেই ব্রেইন কী কাজে লাগবে।
বিধান বাবুঃ- আমরা আমাদের বাবার কাছে কিছু চাইতে গেলে কী আমারা উপবাস করে হাজার মেইল পথ হেটে গিয়ে বাবার কাছে চাই নাকি, নাকি বাবার কাছে গিয়ে হাসি মুখে মন থেকে চাইলেই সব পাওয়া যায়।
বিধান বাবুর কথা শুনে সেখানে সবাই হাস্তে লাগে, পরিমল বাবু ও আড্ডায় আশা
রাজেশ্বর চক্রবর্তী সেখান থেকে রাগকরে চলে যান, ওদের পিছন পিছন বিধান বাবু অ রওনা
হন তাদের মানিয়ে আনতে বিধান বাবু পিছন থেকে তাদের ডাকতে লাগলে কিছুটা পথ গেলে এক
অন্ধকার জায়গায় রাজেশ্বর চক্রবর্তী এক লাঠি দিয়ে তার মাথায় বারিদিলে, বিধান বাবু
চিৎকার করেন এবং তার মুখ বন্ধ করতে পরিমল বাবু তার মুখে চেপে ধরেন এবং
শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে বিধান বাবুর মৃত্যু ঘটে।
মূল
লক্ষ
বাবা
বলেছেন এই বিশ্বের সকল আত্মাই আমার সন্তান, আমি আমার সন্তান্দের মধ্যে কখনো বিভেদ
করি না, সকলেই তার কর্ম ফল দ্বারা প্রাপ্তি অর্জন করে, আমার যে সন্তান দেহের পাঁচ
বিকার অর্থাৎ কাম, ক্রধ, লোভ, মোহ, অহংকার, ত্যাগ করে, আমার সরনাপন্ন হন সেই
স্বর্গ সুখ লাব করেন, মনের মধ্যে কোন প্রকার সন্দেহ রেখে কখনো আমার সরনাপন্ন হবে
না, এতে তমি সম্পূর্ণ ভেবে আমাতে বিলিন হতে পারবে না, পড়, জান, বোঝ, বদ্ধিকে কাজে
লাগাও, তার পর বিশ্বাস কর, যুক্তি দেখ তর্ক কর এরপর বিশ্বাস কর। বাবা বলেছেন আমি
নিরাকার, আমার দেহ নেই, তাই আমার খিদে, তেষ্টা, পিপাসা, নিদ্রা কিছু নাই, কিন্তু
আমার সন্তান তোমাদের দেহ আছে তোমার খিদে, তেষ্টা, আছে তোমরা কখনো উপবাস করে আমার
সরনা পণ্য হবে না এতে তোমাদের দেহের কষ্ট, তোমাদের দেহের কষ্টে আমারও কষ্ট হয়,
তোমরা খউ, খেয়ে আমায় সরন কর এতে আমি সন্তুষ্ট। প্রতিদিন গীতাপাঠ না করে গীতাতে
দেখানো পথে চলের চেষ্টা কর। গীতা, কুরান, বাইবেল, সব জায়গায় একই কথা লেখা। এর
দেখানো পথে চলার চেষ্টা কর এতেই শুখ প্রাপ্তি। যুক্তিতে চিন্তন করে ভক্তি মার্গের
সঠিক অর্থ বোঝার চেষ্টা কর। গীতাতে ধর্ম বলতে সৎ কর্ম, সৎ বচন, সৎ সঙ্গ, সৎ জ্ঞান,
কে বোঝানো হয়েছে, মহাভাতের ধর্ম যদ্ধে, ধর্মের কাছে অধর্মের পরাজয় হয়েছিল। নিজ
চরিত্রের বিকাশ ঘটাও অর্জুনের মত জ্ঞানী হউ, যুধিষ্ঠিরের মত সত্যবান ও ভীমের মত শক্তিশালী
হউ, কৌরব ( লোভ, অহংকার, ক্রোধ, হিংসা ) দের পরাজিত কর। আমার দেখানো জ্ঞান ও
যুক্তির পথ অনুসরণ কর। যত সম্ভব জ্ঞানদান কর, হিংসার পথ ছেড়ে নিজেকে বিশ্বসেবেয়
নিমিত্ত কর। এবং সর্বক্ষণ আমায় সরন কর আমি সকল বিপদে তোমার পাশে থাকব, তোমার কর্ম,
দুঃখ, সব আমায় দাও.........
ধন্যবাদ
ReplyDelete