ধর্মনিরপেক্ষতা কী? / What is Secularism?
ধর্মনিরপেক্ষতা কী? / What is Secularism?
বর্তমানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্মনিরপেক্ষতার বিভিন্ন বিবরণ জানতে ও শুনতে পাই, অনেক বলে থাকেন ধর্মনিরপেক্ষতা মনে সংখ্যালঘুদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া, কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।
গান্ধী জি'র মতে ভারতবর্ষ একটি ধার্মিক রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্রে প্রত্যেকের কাছে তার ধর্ম পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, গান্ধী জি'র মতে আমার কাছে যদি আমার ধর্ম পালন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তবে এটা আমার দায়িত্ব এটা খেয়াল রাখা যে আমার কারণে যেন অন্য কোন ব্যক্তির ধর্ম পালনে বেঘাত না ঘটে, তাই তিনি 'সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের' কথা বলতেন।
এক কথায় বলতে গেলে সেক্যুলারিজম হল Separation of religion from the state.
অর্থাৎ ধর্ম কে সরকার থেকে আলাদা করে দেওয়া,
প্রাচীনকালে দেখা গেছে যারা ধর্মগুরু ছিল তারাই দেশ চালাতেন, যেমন আমরা বিভিন্ন প্রাচীন কাব্য কবিতা গ্রন্থে লক্ষ্য করেছি আগেকার দিনের রাজা, মহারাজা নবাবরা তাদের সভায় উপস্থিত থাকা ধর্মগুরু দের থেকেই পরামর্শ নিয়ে তাদের রাজ্য শাসন করতেন। সেই কারণে সেখানকার সংখ্যালঘুদের বা অন্য ধর্ম বা অন্য জাতির উপর এর খুবই প্রভাব পড়ত বা ওরা বঞ্চিত হয়ে থেকে যেতেন।
সেই কারণে Secularism এর মাধ্যমে ধর্ম কে সরকার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়, যার ফলে ধর্ম একটি আলাদা বিষয় ও সরকার একটি আলাদা বিষয় হয়ে পড়ে।
এইবার প্রশ্ন জাগতে পারে এটি কেন করা হয়েছে আমাদের সংবিধানের "মৌলিক অধিকারের" মধ্যে একটি অন্যতম অধিকার রয়েছে যেটি হল "Right to freedom of religion" অর্থাৎ রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যাক্তি যে যেই ধর্ম মানতে চান যেই ধর্ম গ্রহণ করতে চান তার এর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
এইবার প্রশ্ন জাগতে পারে ভারতে কেন Secularism কে গ্রহণ করেছে, পূর্বে আমরা বহুবার লক্ষ করেছি বিশেষ করে ইংরেজ শাসনকালে ইংরেজদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়ে আমাদের দেশে ধর্মের ভিত্তিতে বহু দাঙ্গা হয়ে গেছে এর ফলে বহু নিরীহ মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছেন। এই রক্তক্ষরণ থেকে দেশ ও দেশের মানুষ কে রক্ষা করতে ও যেহেতু ভারতবর্ষে বিভিন্ন জাত ধর্মের লোক একত্রে বসবাস করেন সেই কারণে দেশের প্রত্যেক ব্যাক্তি কে সমান অধিকার সমান সন্মান দিতে দেশের মহান ব্যক্তিরা এই কাজ করে গেছেন।
Comments
Post a Comment