Posts

২১ মে – শহিদ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

Image
প্রতিবছর ২১ মে তারিখটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় এক গভীর শোক ও জাতীয় বেদনার মুহূর্ত। এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রগতিশীল চিন্তাধারার রূপকার ও আধুনিক ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা শহিদ শ্রী রাজীব গান্ধীকে। শুধু রাজীব গান্ধী জিই না এই দেশ গড়াই সম্পূর্ণ নেহরু-গান্ধী পরিবারের অবদান অপরিসীম, কিন্তু খুবই দুঃখজনক বিষয় রাজীব গান্ধী জির দূরদর্শিতা তার অবদান তার জীবন দশায় কেউ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। একজন সাহসী ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি যেভাবে ভারতকে প্রযুক্তি, শিক্ষা ও গণতন্ত্রের নতুন পথে পরিচালিত করেছিলেন, তা আজও দেশের উন্নয়নের ভিত্তি। আজ যারা ডিজিটাল ভারতের কথা বলছেন রাজীব গান্ধি জি যখন উনার শাসনকালে তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার ও টেলিকমিউনিকেশন খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তখন কমিউনিস্ট সমেত সমস্ত বিরোধীরা এর বিরোধিতা করেছিলেন। ১৯৪৪ সালের ২০ আগস্ট, মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন রাজীব গান্ধী জি। তাঁর পিতামহ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু এবং মা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তা সত্ত্বেও রাজনীতিতে...

জালিয়ানওয়ালাবাগ

Image
১৯১৯সালের ১৩ই এপ্রিল, আজকের দিনটিতেই ঘটেছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা।অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জালিয়ানওয়ালাবাগ। সকল প্রকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কন্ঠরোধ এবং ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন দমন করতে। ব্রিটিশ সরকার বিচারপতি রাউলাটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ‘সিডিশন কমিশন’ [Sedition Commission] গঠন করেন। সেই কমিশনের সুপারিশ সমূহের ওপর ভিত্তি করে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই মার্চ ব্রিটিশ সরকার এক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এবং দমনমূলক আইন প্রণয়ন করেন।  এই আইনই সাধারণভাবে কুখ্যাত ‘রাউলাট আইন’ নামে পরিচিত। এই আইনে জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করা হয়। ‘রাউলাট আইন’ - (সরকার বিরোধী যে-কোনো প্রচারকার্যকে দন্ডনীয় অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয় এবং কোনো রকম সাক্ষ প্রমাণ ছাড়াই যে-কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় ও বিনাবিচারে গ্রেফতার ও যতদিন খুশি আটক রাখার অবাধ ক্ষমতা ও ঘরবাড়ি তল্লাসির অধিকার সরকারকে দেওয়া হয়।)  এই কালো আইনের প্রতিবাদে ১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্যানে ১০ হাজার মানুষ সমবেত হয়। জেনারেল রেগিনাল্ড ...

আমরা কি আজকের সামান্য সুখের জন্য ধ্বংস করছি ভবিষ্যৎ?

#আমরা_কি_আজকের_সামান্য_সুখের_জন্য_ধ্বংস_করছি_ভবিষ্যৎ? সংসার বড় আজব দুনিয়া, সবাই ভাবে কিন্ত কেবল নিজেকে নিয়ে, অপর পক্ষের মানুষের অনুভূতির কোন মূল্য আজ নেই মানুষের কাছে। বাস্তব বড় কঠিন হয়ে উঠেছে, কাকে দোষ দেবেন? সবই সঠিক, আবার সবই ভুল! সংসারের কিছু কঠিন বাস্তব। আমি দেখেছি বহু সংসার ভাঙ্গতে, আবার দেখেছি একটু মানিয়ে নিয়ে, লড়াই করে সংসার টিকিয়ে রাখতে।  আমি দেখেছি স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে, মুখ বুঝে, মানুষের বাড়িতে কাজ করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে সংসার করতে। আমি দেখেছি অনেক সুখে থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে থেকে, পরকীয়া করে সংসার ত্যাগ করতে। আমি দেখেছি অসুস্থ স্ত্রী, দুশ্চরিত্রা স্ত্রী, কটুক্তি করা স্ত্রীকে আগলে রেখে সংসার করতে। আবার দেখেছি পতিব্রতা, সহজ সড়ক স্ত্রী কে ছেড়ে পরক্রিয়া করে বেড়াতে। কাকে দোষ দেবেন? আমরা কেবল আজ টা দেখি, আজকের সুখ খুঁজি, ভুলে যাই ভবিষ্যৎতের কথা।  ঠিক ভুল বিচারে যাচ্ছি না। কিছু প্রশ্ন যা আমরা মনে উকি দিয়েছে সে গুলো নিয়ে বলছি। জানি অনেকেই অসম্মতি প্রকাশ করবে, করাটাই স্বাভাবিক। Every person will have a different perspective, if they don't, it's not no...